Heptathlon Queen স্বপ্না বর্মন কে হেনস্থা করার রহস্য!
Writer: Guddu Roy
সোনাজয়ী অ্যাথলেটিক তথা অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বপ্নাকে নিয়ে অনেক জল বয়ে গেলো আসমুদ্র হিমাচল পর্যন্ত, হয়তো বা আরও জল গড়াবে। কিন্তু আপনারা কি লক্ষ করেছেন যে,স্বপ্নাকে চক্রান্ত করে পদে পদে ফাঁসিয়ে রাখার বীজ কবে বপন করা হয়েছিল। স্বপ্নাকে হেনস্থা করার রহস্য! (Heptathlon Queen Swapna Barman) কি?
স্বপ্না যখন এক নিম্নবৃত্ত পারিবার থেকে ওঠে হেপ্টাথলন বিভাগের মতো এক কঠিন জায়গা থেকে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলো, তখন থেকেই রাজ্য-কেন্দ্র স্বপ্নাকে ফাঁসানোর ফাঁদ পাতিয়েছিল। অন্যান্য রাজ্য থেকে যারা দেশে সোনা এনেছিল, সেইসব সোনাজয়ীদের কোটি টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্র সরকার থেকে এবং সেই রাজ্যের রাজ্য সরকারও কম্পিটিশনের জোরে তারাও কোটি কিংবা কোটি টাকার কাছাকাছি পুরস্কার দিয়েছিলো।
কিন্তু স্বপ্নার বেলায় বড় জোর 10 লক্ষ। কি কেন্দ্র,কি রাজ্য-উভয়েই চরম বঞ্চনা করে রেখেছিলো। কেননা স্বপ্না এক নিম্নবৃত্ত পরিবারের মেঝেতে শুয়ে থাকা মেয়ে তো । তাই একে দিয়ে পরবর্তীতে হয় স্বপ্নাকে নয় স্বপ্নার জাতিকে দিয়ে এক কূটনৈতিক চাইল খেলা সহজ হবে । সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো যাবে।
রোগীকে রোগিনীই করে রাখো, পারলে রাস্তা থেকে তুলে আশ্রমে একটু জল দিয়ে জীবিত করে রেখো। কিন্তু ঔষধ, হসপিটাল কক্ষনো নয়। হুম হাসপাতালটা গড়ালে তো রোগী সুস্থই হয়ে গেলো, তাই না!
আচ্ছা আমাদের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলিকে কি বাম,কং, টিএমসি, বিজেপি রাজনীতিতে আসার প্রস্তাব দেয়নি? এককথায় সবাই দিয়েছে, কিন্তু সম্ভ্ৰাম্য পরিবারের তো দাদা তাই একটু হেলানো সম্ভব হয়নি। আবার টলিউডের হিরো দীপক অধিকারী (Deb) বেচারা কান্নাকাটি করেও তো রাজনীতির ফাঁদ থেকে বের হতে পারলো না।
ভবিষ্যতেও স্বপ্না যে এমন রাজনীতির স্বীকার হবে না, তা কোনো গেরান্টি আছে?
এই তো নদীতে ভেসে আসা কাঠের টুকরো দিয়েই কেবল শুরু। খেলা তো অভি বাকি হ্যায়।
সামনেই ভোট কিংবা আবারো ভোট আসবে। কেন্দ্র-রাজ্যের জঘন্য রাজনৈতিক কারণে আজ স্বপ্না কালিমালিপ্ত হলো । স্বপ্নার জাতি কালিমালিপ্ত হলো।
সে তো ভিডিও ফুটেজেই দেখা গেলো, স্বপ্নার বাড়ির অবস্থা। এদিক, ওদিক ছিটকে থাকা আসবাব পত্র, থাকার ঘর-সবই তো জনতা দেখলো। বাকি আর কি থাকলো। বাকি তো আছে আরও জঘন্য রাজনীতি।