গছা বাতি ও কালি পূজা / Gicha bati and Kali Puja
আজি কালি পূজার (Kali Puja) ঘুটঘুটা আমাবৈষ্যার সৈন্দাত (সন্ধ্যাবেলা) রাজবংশী মানষিলা পূর্বপুরুষগুলার (১৪ পুরুষ) উদ্দেশ্যে গছা বাতি (Gocha Bati) দেয় ও ঔমাক স্মরণ করে। কারন ইমরা মনে করে, উমার পূর্বপুরুষ গুলা ঐ আলো দেখে এবং ইমাক আশুরবাদ করে।
মেলাপুরানী ওন্য ধরনের এই বাতি দেওয়ার প্রচলন রাজবংশী মানষির এক ধরনের প্রকৃতির উপাসনা। প্রকৃতির উপাসনা উৎসবোত পূর্বপুরুষ গুলাক স্মরণ করে বাড়ির পুরুষ মানষিলা।
কালী পূজার অমাবস্যার দিন বাড়ির আইনাত ঠাকুরের থানের সামনোত উপাসে (খালি পেটে) আটিয়া কলার গাছ পোতায়। তারপরে সুন্দর করি আইটাল মাটি ও জল দিয়া ন্যাপে দেয়। তারপরে ওটি কাঁচা বাঁশের ছিচকানি গোল করি লাগে দেয়,এমন করি লাগে দেয় যাতে মাটির দেয়ারীগুলা পড়ি না যায়। সারাদিন দেয়ারীগুলা জলোত ভিজি রাখা খায়। সৈন্দার পরে আলো চাইল, বাতাসা, চিনি, কাঁচা দুধ ঢোঙ্গলোত সাজেয়া ধূপ ধূনা লাগেয়া পূজা দেওয়া হয় ঐ আটিয়া কলা গাছটাক। পূজা দেয় অধিকারী বামন। তবে বেশিরভাগ মানষি বামন ছাড়া নিজে সারাদিন উপাস (পুরুষ) থাকি পূজা দেয়। এটি কোনো মন্ত্র লাগে না। পূজা শ্যাস করি একে একে ১৪ পুরুষের নাম নেয় আর আর বাতি ধরে দেয় কলাগছের প্রদীপগুলাত। বাতি গুলা সারারাত ধরি জ্বলি থাকে। এই পর্বগুলা করি পুরুষ মানষিলা খাওয়া দাওয়া করে ও উপাস ভাঙে। তবে বাপ মাও বাঁচি থাকিলে বাতি ধরে দেওয়া যায় না, এমনও নিয়ম আছে। এই গছা বাতি দেওয়া রাজবংশী মানষিলা বংশপরম্পরায় করি আসির ধৈরছে। আরও ছাওয়াগুলা নারকেলের খোলোত মম লাগেয়া লাইট জলায় এইদিন।
এই গছা বাতি (Gocha Bati) দেওয়া পূজাত জাগা বিশেষে নিয়মের কিছু হেরফের আছে। তাছাড়া বামনের সংখ্যা ও আটিয়া কলা গাছের সংখ্যাও কমি গেইছে।আধুনিকতার লোক উৎসব এর পুরানী এই প্রথা গ্রামগঞ্জের রাজবংশী মানুষজন এলাও ধরি রাখছে।
কাতি গছা, ভোগা দেওয়া ও ডাকলক্ষ্মী পূজা / Kati Gocha, Bhoga deoa and Dak Lakshmi Puja.
আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিত গ্রামগুলার ধানখ্যাতোত প্রদীপ ও কোষটার (পাট) আঁশ সাতোত ঘিউ মিশিয়া ভোগা (Bhoga) তৈয়ারী করি জমির এক কোনাত বাঁশের নাটি পুতিয়া ভোগা জলে দেওয়া হয়। ইয়াক ডাকলক্ষ্মী পুজা (Dak Lakshmi Puja) কয়। আরও সরিষার খোল ও দেশি লেবুগাছের পাতা ভাজিয়া একসাথে গুড়া করিয়া ধানক্ষেতত ছিটিয়া দেওয়া হয়। ধানের শিষ বিড়াইলে পোঁকা মাকড় আক্রমন করে, তাই পোকামাকড় ভাগেবার জইন্য ডাকলক্ষ্মীর মাধ্যমোত প্রার্থনা করা হয়।
// সগারে ধান হিত্তিহুত্তি
হামার ধান বাড়ির ফিত্তি।।
// আশ্বিন কাত্তি ভোগার ডাঙ,
নারা ফাটিয়া বিড়াউক ধান।
সগারে ধান টোনা মোনা,
হামার ধান একাশি সোনা।।
// সগারে ধান আউল ঝাউল।
আমার ধান সিদায় চাউল।।
// সগারে গরু নড়ে চড়ে।
আমার গরু উটিয়া দৌড় মারে।।
// পোকা মাকর দূর পালা।
মা লক্ষ্মী খেল খেলা।।
আধুনিকতার চাপোত মেলা পুরাণী এই রীতিগুলা জৌলোস হাড়াইলেও রাজবংশী মানসিগুলা এলাও এই রীতি পালন করির নাইগছে এবং কমবেশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষলাও এইলা পালন করে।