জাতিভেদ হিন্দুধর্মের অন্যতম মূল ভিত্তি। পূর্বতন ঋষিদিগের মতে প্রথম মনুষ্য সৃজনের সময়ই জাতিভেদের প্রথম সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মার মুখ হইতে ব্রাহ্মণ, বাহু হইতে ক্ষত্রিয়, উরু হইতে বৈশ্য, চরণ হইতে শূদ্র, এই চারি জাতির পরস্পর অনুলোম, বিলোম বিবাহ হইয়া বহুতর সঙ্কর জাতির উৎপত্তি হইয়াছে।
Book Hothath Kshatriya – By Shri Ramanath Bidyaratna
যে যেমন জাতি তাহা শাস্ত্র, অভিধান এবং পুরানাদিতে লিখিত আছে। এতাবৎকাল পর্যন্ত্য জাতি বিষয়ে কোনো জাতিই কোন পুস্তক লেখেন নাই। কেবল কায়স্থরা, ক্ষত্রিয় হইবার বাসনায় কায়স্থ কৌস্তভ, কায়স্থ সংহিতা, কায়স্থ পুরাণ, কায়স্থ গীতা, দত্তবংশমালা, কায়স্থকুল পীযুষ প্রবাহ ইত্যাদি নানাবিধ পুস্তক প্রচার করিয়াছেন, সেই সকল পুস্তকের দোষ উদ্ঘাটনে কেহই যত্নবান হন নাই, কেবল শ্রীযুক্ত গোবিন্দচন্দ্র গোস্বামী মহাশয় কায়স্থ সদগোপ সংহিতা নাম একখানি পুস্তক প্রকাশ করিয়া তাহাতে লিখিয়াছেন যে কায়স্থেরা যে প্রমাণানুসারে আপনাদিগকে ক্ষত্রিয় প্রমাণ করিতেছেন, সেই সকল শাস্ত্রের বচনুসারে উহাদিগকে হীনশূদ্র বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে।…….