কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্যি এই যে উত্তর পূর্ব ভারতের বাসিন্দারা হল ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত। অন্যান্য রুটের রাজধানী এক্সপ্রেসের যত পুরোনো বগি আছে সেই বগি গুলো গৌহাটি দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেসে লাগানো হয়।আমি দিল্লী – মুম্বাই, বা দিল্লী – কোলকাতা বা দিল্লী – অমৃতসর/চন্ডীগড় এইসব রুটে রাজধানী এক্সপ্রেস বা অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনে অনেক যাতায়াত করেছি। ঐসব রুটে যাতায়াত করার পর যখন দিল্লী-গৌহাটি রুটের রাজধানী এক্সপ্রেস বা অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে কোচবিহার আসতাম তাতে পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারতাম এই রুটের বগি গুলোর করুন চেহারা। পরিস্কার ভাবে বোঝা যেত প্রায় অচল সব বগি গুলোকে দিল্লী-গৌহাটি এই রুটে লাগিয়ে দিত।আপনারা মহানন্দা এক্সপ্রেস, নর্থইস্ট এক্সপ্রেস সহ যত মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেন আছে এদের বগিগুলোর অবস্থা দেখবেন আর দিল্লী – আহমেদাবাদ – মুম্বাই রুটের যেকোনো ট্রেনে উঠলেই সেইসব ট্রেনের বগিগুলোর মেইনটেনেন্স বুঝতে পারবেন। আগে যখন রাজধানী এক্সপ্রেসে খাবার দিত সেখানেও দেখা যেত অনাচার। দিল্লী মুম্বাই রুটে ওয়েটার রা খাবার দেবার পর পরে আরো একবার এসে জিজ্ঞেস করত এক্সট্রা রুটি লাগবে নাকি, আরো কিছু লাগলে বলবেন ইত্যাদি। কিন্তু এই রুটে এক্সট্রা রুটি তো দুরের কথা পারলে হকের আচারের প্যাকেটাও মেরে দিত। কম্বল আর বালিশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। নোংরা বালিশ দিয়ে যেত, রুমাল দিতনা। কলকাতা – শিলিগুড়ি দার্জিলিং মেইল আর কলকাতা – বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের মধ্যে বগিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের তফাৎ আপনারা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। দার্জিলিং মেইল তুলনামূলক ভাবে অনেক পরিস্কার থাকে। কারনটা আপনারাই খুঁজে বের করুন।
এখানকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দও কখনো কোনো রকম উচ্চবাচ্য করে না অবহেলা বা বন্চনা নিয়ে। হরিয়ানা তে আমি দেখেছি পান থেকে একটু চুন খসলেই এমএলএ থেকে শুরু করে সমস্ত ছোটোখাটো নেতা রে রে করে উঠে, হাইকমান্ডেরও পরোয়া করে না। তখন বিরোধী দলের নেতাও একযোগে রে করে উঠে। আসলে এই অন্চল থেকে যারা নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা কলকাতা বা দিল্লীর দলদাসে পরিনত হয়ে যান কিছুদিনের মধ্যে। তাদের কাছে পোস্ট বা চেয়ার টা বড় হয়ে উঠে মানুষের সমস্যা না। নাহলে দাদার নির্দেশে বা দিদির নির্দেশে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে চললাম এই কথাগুলি আসত না।
ট্রেনের ইন্জিনের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা হয় যা গতকালের বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনা বুঝিয়ে দিল। চলন্ত ট্রেনের ইন্জিনের ট্রাকশন মোটর ভেঙে গিয়ে রেলের স্লিপার কে ডিলোকেট করার জন্য পিছনের কয়েকটি বগি ডিরেইল্ড হয়েছে যা রেলমন্ত্রী প্রাথমিক ভাবে আভাস দিয়েছেন।
কলকাতার বাংলা মিডিয়া “সংবাদ প্রতিদিন” অবশ্য কেএলও জঙ্গির নাশকতার গন্ধ পাচ্ছে। জানিনা এসব মিডিয়াকে কি করে মানুষ সহ্য করে।
গতকাল দোমহানি-ময়নাগুড়িতে ট্রেন দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষ যেভাবে আহতদের উদ্ধার ও রক্তদানের জন্য এগিয়ে এসেছিল তা সত্যি প্রশংসনীয়।ট্রেনের ইন্জিন তথা বগি গুলো যাতে ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হয় এবং গৌহাটি রুটে যাতে অচল বগি না দেয় এজন্য সাধারন যাত্রীদেরই এগিয়ে এসে একবার না বারবার Complaint করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, রেল ডিপার্টমেন্টের কাছে।
©️VSarkar
#Not only Northbengal, entire Northeast India is deprived.