চর্যাপদের অনুবাদ (1)
লেখাইয়া: বাউদিয়া রায়
টিলার উপরে করিসুরে ডেরা
নাই কুনো মোর পড়শী,
হাঁড়িৎ গুটিকো ভাত নাই মোর
জ্বালা – দুখ দিবানিশি।
ঘরের মাঝিয়া ভরি গেল মোর
সাপ ব্যাঙ্ পকা – মাকড়ে,
ছেকা দুধ ভাই কেমনে যাবেরে
ঘুরিয়া গাইয়ের বাটেরে।
গাইকিনা মোর দেয় না বাছুর,
বিয়াছে হালুয়া গরু,
সাধনের পীঠ ভরো তিন সাঁজ
ছেকিবার করো শুরু।
চেঙেরালা যা বুঝেছে ভালোটা
বুড়ালা বুঝেছে মন্দ,
কালিকার চৈর আজি সাধু হোলে
পালাছে চোরের গন্ধ।
সিংঘ বাঘের নগৎ দেখেছো
দিনাও শিয়ালে যুঝে,
টেন্টনপাদের এই ভালো গান
কয়ঝনে ভালো বুঝে!
(টেন্টনপাদের ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী’ পদের অনুবাদ)
চর্যাপদের অনুবাদ (2)
এই দেহার গছৎ পাঁচকিনা ঠাল,
চলমন মনে সদায় সোন্ধায় কাল।
মাপিয়া নেক্ মহাসুখ পোক্ত করিয়া,
এই গিয়ান আর্জেক গুরুকে পুছিয়া।
সমাধি সারিয়া তোর কিবা ফল হবে,
সুখ – দুখের মরণ তুই এড়াবো কি ভাবে?
ভবলীলা – সুখের আশা ছাড়েক তুই,
শূণ্যের পাখে পাও বাড়া কছে যে লুই।
পিড়া বানালেক তায় ধমন – চমন,
ধ্যানোতে জানিলো লুই বিচার হিমন।