কামতাপুরী কোচ রাজবংশী সমাজোত গুয়া পান হৈল্ সৌগ শুভকাজের সাক্ষী বহনকারী। গুয়া পান না হইলে কোনো শুভ কাজ হবারে পায় না ব্যাপারটা এইনাকানে।
বিষহরা বা বিষহরি (Bishohari Puja)পূজার সমায়তেও গুয়া পানের গান গায় গিদাল গিলা। নিচত সেই গানের এখান চিত্র তুলি ধরা হৈচে।
“গুয়া খ্যায়া যা প্রাণের আলো সই,
কে দিন ভারা আরে কে দিন ভারটি নারে হে।
গুয়া উঠিয়া কহে মুই বংগের খেতি,
আষাঢ় শাওন মাসে এ ঘোর যুবতী।
পান উঠিয়া কহে মুই মেঘ বরণ,
বারুই ডাকুয়া জানে হামার যতন।
বারুই ডাকুয়া হামার জানে হিত,
নল খাগর দিয়া বাড়ায় নিত নিত।
ঝিনাই উঠিয়া কহে মুই সাগরত বনচু।
পুরিয়া পাছিয়া করে কান্চরে পৌছাবু।
আজন যুগিয়া বেটা আনিল্ ধরিয়া,
জাবুরা ঘুসুরা দিয়া মারিল পুড়িয়া।
ছুরিয়া পুড়িয়া মোক কল্লেক রসি,
হামেরা উঠিয়া পানের বুকোত বসি।
কাটারি উঠিয়া কহে মুই নসর পসর,
হামেরা কাটিলে গুয়া খায় সব্ব নর।
সাজি উঠিয়া কহে হামেরা ভান্ডারী,
মোরা না হইলে গুয়া যায় অধোগতি।
আবান ছাওয়াল লোক গুয়া ভানা খায়,
হিগাল হুগাল করি গিলিয়া ফ্যালায়।
এ ঘোর যুবতী কৈনা গুয়া ভানা খায়,
কলসিত্ মুখ দিয়া উপ নেহনায়।
বুড়ি বুড়া লোক গুয়া ভানা খায়,
হিগাল হুগার করি থ্যাবরে ফ্যালায়।
খিরল উঠিয়া কহে হামরা পন্চ ভাই,
দাতের গোরে হামারো আছে ঠাই।
রামের গছে কুহু, দারিম্ব গছে শুয়া,
দিবে পানে ত্যালে সিন্দুর, গিদালে পায় গুয়া।
গিদালক ছারিয়া গুয়া যে বা জন খায়,
মামা শশুরের তায় কান মচরায়।
চাউয়া লোক কহে গিদাল বড় ভন্,
ভন্ কাথা না হয় এই লা আছে শশুরের খন্।
গুয়ার কাঙ্গাল নাহৈ গুয়া খুজি খাই,
শাস্তরের খন্ গিলা কহিবারে পাই।
কিরা খানি দিয়া মোর মনে হৈল্ টাঙ্গা,
এক গাড়ি গুয়া দিলে কিরা যায় ভাঙ্গা।”