কোচাখ্যানে চ দেশে চ যোনিগর্ত্তসমীপতঃ।
মাধবী শক্তিরস্ত্যেকা হীরেতি জনবিশ্রুতা।।
ভিক্ষাচার প্রসঙ্গেন গচ্ছামি চ দিবানিশং।
তৎসন্নিধৌ মহাদেবী তয়া মে রমণং মহৎ।।
তস্যা পুত্রো বিশ্বসিংহো মদৌরসসমুদ্ভবঃ।
একঃসন্ জীতবান্ কামান্ সৌমারান্ গৌড়পন্চকান্।।
বিনির্জ্জিত্য নৃপান্ সর্ব্বান্নেকচ্ছত্রঃ মহীপতিঃ।
তস্যাপি বহবঃ পুত্রাঃ পৃথিবীপরিপালকাঃ।।
কুবাচা ধার্ম্মিকাঃ সর্ব্বে রাজানো যুদ্ধদুর্ম্মদাঃ।। (Yogini Tantra, Patal XIV)
পরশুরাম ভয়াৎ ক্ষত্রী
সংকোচাৎ কোচউচ্যতে। (Yogini Tantra)
সংস্কৃততে ল্যাখা মানে এই না যে স্বয়ং ভগবান লেখি পাঠে দিচে। এইলা রক্তমাংসের মানষিয়ে লেখিচে। সমাজে কার প্রভাব প্রতিপত্তি বেশী, কার কি দুর্বলতা, কার কি ভাল্ জিনিস – কুল্লাকে বিচার করি তারমধ্য থাকি নিজের কি লাভ, কি করিলে সমাজটাক একে সুরে বান্ধিয়া নিজের আয়ত্তে রাখা যায় কলমের খোচাত। তারই কিছুটা প্রতিফলন হৈলেও হবার পায়।
উপরার ল্যখালা দেওয়ার মানে হৈল্ –
হামরা ক্ষত্রিয়, কোচ ক্ষত্রিয় নোমায় ঐজন্যে রাজবংশী নাম নিলং। – certificate দিবে কায়? যায় রাজবংশীক ক্ষত্রিয় সার্টিফিকেট দিবে তায় কোচওকো ক্ষত্রিয় সার্টিফিকেট দিবে। কাজের কাজ কি হৈল্ মানষি দুইভাগ হৈল, সেই হিসাবে কিছু জাগাও ভাগ হয়া গেইল্ রেষারেষি করি। সমায়ের ব্যবধানে ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতিরো কিছু কিছু পরিবর্তন হৈল্। ক্ষত্রিয় সার্টিফিকেট নিয়া মনোবল তেজোবল কার কতটা বৃদ্ধি হৈল্ নাজানং তবে বৈষয়িক ভাবে বাস্তবে অনেক ক্ষতি হৈচে যার ফলস্বরুপ কালের নিয়মে মেলা যুবকের নিজের ভিটামাটি ছাড়ি কাজের খোঁজত কেরালা হরিয়ানা যাত্রা।
এলা যেমন রাজবংশী ভাষা আর কামতাপুরী ভাষা। কায় দিবে ভাষার সরকারী মর্যাদা? যায় রাজবংশী নামে দিচে তায় কামতাপুরী নামেও দিচে। কি লাভ হৈচে?
নিজেদের ভিতরা টিউনিং তৈরী না করি আলদা আলদা ঘাটা দিয়া ভাষার সার্টিফিকেট নিবার যাবার ধৈরচে। রাজবংশীক কোচ-রাজবংশী কৈলে জাত চলি যাইবে, ক্ষত্রিয়ত্ব হরণ হৈবে এই মনোভাবনায় কিছু রাায়সাহেব পন্চানন প্রেমী ব্যক্তি আতঙ্কের মধ্যে ভোগে। অথচ ঐতিহাসিক দলিল এমনকি পৌরাণিক বইলাও একে কথা কয় যে কোচ আর রাজবংশী অভিন্ন।
©️VSarkar