কাঠোল পচি গেইছে - বক্তা বাঙালি কবি অসীম সরকার

VSarkar
কাঠোল পচা কবিয়াল অসীম

কাঠাল পাকলে নাকি রাজবংশীরা বলে কাঠোল পচি গেইছে - বক্তা কবি অসীম সরকার

লিখেছেন: তেজস্বী রায়, PhD Scholar, JNU, Delhi

কাঠাল পেকে গেলে বলে পচে গেছে!” – ওনার হিসেবে আমরা পাকা আর পচার মধ্যে তফাতটাও জানি না। “ওরা (পুরুষরা) নেংটি পড়তো আর জাল! পড়তো; মেয়েরা, ওদের অর্ধেক বুক বের হয়ে থাকতো; আর কাপড় পরতে এই পর্যন্ত (অঙ্গভঙ্গিতে হাঁটুর উপর পর্যন্ত দেখিয়েছেন)” – – রাজবংশী সমাজের/সংস্কৃতির/বেশ-ভূসা সম্পর্কে এই সমস্ত কথা যে প্রকাশ্যে বলতে পারেন (চাইলে ভিডিওটা দেখে নিতে পারে আগের পোস্টে আছে), তিনি কতটা অহংকারী, নির্লজ্জ এবং ব্যভিচারী পুরুষ – তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তার হিসেবে নেংটি ও পাটানি (রাজবংশী), ডোখনা/দোখনা (বোরো বা মেছ) এবং আদিবাসী (ওরাওঁ) মহিলাদের পোশাককে প্রলুব্ধকর, অপসংস্কৃতিক।

আজকাল ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এই সময় আমরা হামেসাই উচ্চারণ করি কতকগুলো তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ যেমন স্টেরেওটাইপ (রক্ষনশীল) মিসজিনিস্ট (নারী বিদ্বেষী), সেক্সিস্ট (যৌণ সমন্ধীয় কটূক্তি), মোরাল পুলিশিং (অ-নৈতিক নজর দাড়ি)– সেই সময় অনেকে মনে করছেন কবি অসীম সরকার নেহাতই ভুল করে মন্তব্য করেছেন। সুতরাং, তিনি ক্ষমার যোগ্য। বা রে!! এই মহান সেলিব্রিটি লোকটির কথাগুলোকে আপনাদের কি ‘ভুল বশত’ মনে হচ্ছে? যিনি আসরের শ শ দর্শক/শ্রোতাকে প্রভাবিত করতে পারেন, তার কথাকে আমি অন্তত হালকা ভাবে নিতে পারি না। তার জন্য তাকে খসারত দিতেই হবে। নাহলে কেনো ‘বড়ো মাপের ‘ ‘ভদ্রলোক’ যেমন, সৌরভ চক্রবর্তী, ময়ূখ ব্যানার্জী, রঞ্জন ঘোষাল প্রমুখের এর মত নানা সময়ে ঠাট্টা-তামসা, বদনাম করা হয়? যাঁদের নাম নিয়েছি, তাদেরকে আমি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখি।

যেখানে, বাঙালিরা নিজেকে ‘ইন্টেলেকচুয়াল ‘, ‘প্রগতিশীল’, সংবেদনশীল ও বিচক্ষণ মনে করে, সেখানে আজ তারা নিশ্চুপ! বাংলার মেইনস্ট্রিম সংবাদপত্র গুলোর কাছে এগুলো নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনা! উপরোক্ত দৃষ্টান্তগুলোতে নিন্দা জানিয়ে কোনো বক্তব্য শুনিনি আপনাদের কাছ থেকে। নাকি নিরব থেকে এদেরকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে, এখন আমাদের কথা আপনারা না ভাবলেও চলবে, আমরা জেগেছি, সাড়া পাবেন।

আরো পড়ুন –