ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি - কোচ রাজবংশী - কামতা। Koch Rajbanshi Kamata

VSarkar
Bhsha krishi koch rajbanshi

কোচ রাজবংশী কামতার ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি

কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের পূর্বে সমস্ত রাজাই কোচ রাজবংশী কন্যাকে/পুত্রকে (সম্ভ্রান্ত প্রজা, জমিদার বা জোতদারদের পুত্র /কন্যা) বিবাহ করেছেন।

রাজবংশে বিবাহিত কন্যার পিতা ও তার বংশধর গণের পদবী “কার্য্যী” হত আর রাজবংশের দৌহিত্র সন্তানগণের উপাধি “ঈশোর” হত।

যেমন রুপচন্দ্র বরকায়স্থকার্য্যীর ভগিনী কামতেশ্বরী দেবীর সাথে মহারাজা ধৈর্য্যেন্দ্রনারায়ণের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। তারপর কামেশ্বরী দেবী, বৃন্দেশ্বরী দেবী ইত্যাদি।

কোচবিহার বা পার্শ্ববর্তী এলাকার জোতদার বা জমিদার পরিবারের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে রাজপরিবারের ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির কোনো পার্থক্য ছিলনা বললেই চলে। হয়ত এইজন্যই ঐ সময় পর্যন্ত ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা রক্ষিত ছিল।

মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ও তার পরবর্তী সমস্ত মহারাজা বা রাজার প্রায় সমস্ত নিকট আত্মীয় অরাজবংশী কন্যা/পুত্র কে (বেশীরভাগই বাঙালী ও বিদেশী) বিবাহ করেছিলেন।

রাজপরিবারে কোচ রাজবংশী সংস্কৃতির অধঃপতন এখান থেকেই শুরু বলা যায়। স্বভাবতই রাজপরিবারে যদি আত্মসংস্কৃতির অবনতি ঘটে তার প্রতিফলন নিকট আত্মীয়দের মধ্যেও হয় এবং তা প্রজাবর্গের মধ্যেও বিস্তার করে।

Gocha bati
এখনও অনেক শিক্ষিত কোচ রাজবংশী পরিবার নৃপেন্দ্রনারায়ণ পরবর্তী রাজা-মহারাজার (তথাকথিত রাজকীয়) ধারা বজায় রাখতে উদ্যত যা কোচ রাজবংশী ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ক্রমঅবলুপ্তির অন্যতম কারন বললেও আশাকরি দ্বিমত কেউ হবেনা।


ভালো লাগলে অবশ্যই Like এবং Share করবেন।